ডে-৬: প্রক্সিমিটি সেন্সর দিয়ে সুইচিং সার্কিট তৈরি করণ
উদ্দেশ্য
এ প্রজেক্ট এর মাধ্যমে আমরা দেখব যে, কিভাবে একটি NPN Type প্রক্সিমিটি সেন্সর দিয়ে সুইচিং সার্কিট তৈরি করে কোন আউটপুটকে কন্ট্রোল করা যায়।
প্রয়োজনীয় কম্পনেন্ট সমূহ
- NPN Type প্রক্সিমিটি সেন্সর
- 24 ভোল্ট ডিসি লোড
সার্কিট ডায়াগ্রাম
কার্যপ্রণালীঃ
চিত্রে একটি n-p-n টাইপ প্রক্সিমিটি সেন্সর ব্যবহার করে একটি সুইচিং সার্কিট দেখানো হয়েছে। একটি প্রক্সিমিটি সেন্সরে সাধারণত তিনটি টার্মিনাল (যথাঃ VCC, GND and OUTPUT ) থাকে। এখানে VCC টার্মিনালকে এবং লোডের পজেটিভ টার্মিনাল কে 24 ভোল্ট ডিসি পজেটিভ প্রান্তের সাথে এবং GND টার্মিনালকে GND এর সাথে সংযোগ করা হয়েছে। লোডের অপর প্রান্ত কে সেন্সরের আউটপুট টার্মিনাল এর সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এখন, পাওয়ার সংযোগকৃত অবস্থায় যখন সেন্সরের সামনে কোন মেটাল অবজেক্ট দেওয়া হবে। তখন এটি তা ডিটেক্ট করবে এবং এর আউটপুট টার্মিনালটি লো পাওয়া যাবে। ফলে, লোডটি অন হবে।
কম্পনেন্ট সম্পর্কে ধারণাঃ
প্রক্সিমিটি সেন্সরঃ
প্রক্সিমিটি সেন্সর হলো এক প্রকার সেন্সর যা কোনো রকম স্পর্শ ছাড়াই নিকটবর্তী বস্তু শনাক্ত করতে পারে।
প্রক্সিমিটি সেন্সর (Proximity sensor) মূলত ব্যবহার করা হয় কোন বস্তুর উপস্থিতি বোঝাতে বা কতটা কাছে তা বোঝাতে। সাধারণভাবে ইন্ডাক্টিভ টাইপ প্রক্সিমিটি সেন্সর একটি তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরী করে বা তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ নিঃসরণ করে এবং তার পরিবর্তন থেকে বস্তু কতটা কাছে, দূরে বা এর প্রকৃতি কি তা নির্ধারণ করে। অপরদিকে ক্যাপাসিটিভ টাইপ প্রক্সিমিটি সেন্সর, সাধারণত আলো বিচ্ছুরণ এর মাধ্যমে কোন বস্তুর উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারে।
প্রক্সিমিটি সেন্সর সাধারণত চার প্রকার হয়ে থাকে। যথাঃ
- PNP (NO-Normally Open)
- PNP (NC- Normally Closed)
- NPN (NO-Normally Open)
- NPN (NC- Normally Closed)
এছাড়াও গঠন, কাজ এবং ব্যবহারের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের প্রক্সিমিটি সেন্সর হয়ে থাকে। নিম্নে কিছু প্রক্সিমিটি সেন্সর এর নাম উল্লেখ করা হলো।
- inductive proximity
- Capacitive
- Doppler Effect
- Magnetic
- Photoelectric
- Infrared
- Hall effect